প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্যই হলো নিজেকে আবিষ্কার করা: প্রধান উপদেষ্টা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রতিযোগিতা নিজেকে আবিষ্কারের এক সুযোগ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) জনপ্রিয় শিশু প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি ২০২৫’ দেশের শিশু ও কিশোরদের মেধা, প্রতিভা ও সৃজনশীলতা বিকাশে সেই সুযোগ তৈরি করেছে।

আজ  প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘নতুন কুঁড়ি ২০২৫’-এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘শিশুদের জন্য আজকের এই অর্জন তাদের জীবনের এক বিশেষ মুহূর্ত। এটি তাদের আরও এগিয়ে যেতে, নিজেদের আবিষ্কার করতে অনুপ্রাণিত করবে। এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্যই হলো নিজেকে আবিষ্কার করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়বে দেশের অগণিত ঘরে। এই উৎসব শুধু উপস্থিত শিশুদের নয়, তাদের প্রতিটি পরিবারকেও আনন্দিত করবে—যারা ভালোবাসা ও প্রত্যাশা নিয়ে তাদের সন্তানদের সাফল্য দেখেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, প্রতিটি শিশুর অর্জন, যত ছোটই হোক না কেন, একটি অনুপ্রেরণার মাইলফলক।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতায় সারা দেশের হাজারো শিশু অংশ নেয়। নাচ, গান, আবৃত্তি, কৌতুক, গল্প বলা, অভিনয়সহ মোট ১২টি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রতিযোগিতা শিশুদের চরিত্র ও দৃঢ়তা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিজয়ীরা যেমন উৎসাহের যোগ্য, তেমনি যারা জয়ী হতে , তারাও ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী থেকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পায়।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, যারা চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে পারেনি, তারাও প্রশংসার দাবিদার। কারণ কোনো শিশু যখন ভাবে— ‘আমি কেন না?’ তখন সেই প্রশ্নই তাকে বদলে দেয়, তাকে অনুপ্রাণিত করে ভবিষ্যতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুরা প্রশ্ন করতে শেখে, চ্যালেঞ্জ নিতে শেখে, বুঝতে শেখে যে তারা এমন কিছু করতে পারে যা অন্যরা পারে না। এভাবেই তাদের আত্মবিশ্বাস ও কল্পনাশক্তি বেড়ে ওঠে।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আমাদের জীবন কোনো পরিবারের কাছে বর্গা দিতে চাই না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

» প্রধান উপদেষ্টা দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন : সামান্তা শারমিন

» আজ কুমিল্লা-৪ আসনের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মাধ্যমে এই আসনটি আমার নিশ্চিত হয়ে গেল: হাসনাত আব্দুল্লাহ

» গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

» বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু, ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন তারেক রহমান

» ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী

» ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাকর্মী নিহত

» ২৩ নভেম্বর বিপিএলের নিলাম

» বৈবাহিক সম্পর্কেরও মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল

» উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্যই হলো নিজেকে আবিষ্কার করা: প্রধান উপদেষ্টা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রতিযোগিতা নিজেকে আবিষ্কারের এক সুযোগ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) জনপ্রিয় শিশু প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি ২০২৫’ দেশের শিশু ও কিশোরদের মেধা, প্রতিভা ও সৃজনশীলতা বিকাশে সেই সুযোগ তৈরি করেছে।

আজ  প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘নতুন কুঁড়ি ২০২৫’-এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘শিশুদের জন্য আজকের এই অর্জন তাদের জীবনের এক বিশেষ মুহূর্ত। এটি তাদের আরও এগিয়ে যেতে, নিজেদের আবিষ্কার করতে অনুপ্রাণিত করবে। এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্যই হলো নিজেকে আবিষ্কার করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়বে দেশের অগণিত ঘরে। এই উৎসব শুধু উপস্থিত শিশুদের নয়, তাদের প্রতিটি পরিবারকেও আনন্দিত করবে—যারা ভালোবাসা ও প্রত্যাশা নিয়ে তাদের সন্তানদের সাফল্য দেখেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, প্রতিটি শিশুর অর্জন, যত ছোটই হোক না কেন, একটি অনুপ্রেরণার মাইলফলক।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতায় সারা দেশের হাজারো শিশু অংশ নেয়। নাচ, গান, আবৃত্তি, কৌতুক, গল্প বলা, অভিনয়সহ মোট ১২টি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রতিযোগিতা শিশুদের চরিত্র ও দৃঢ়তা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিজয়ীরা যেমন উৎসাহের যোগ্য, তেমনি যারা জয়ী হতে , তারাও ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী থেকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পায়।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, যারা চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে পারেনি, তারাও প্রশংসার দাবিদার। কারণ কোনো শিশু যখন ভাবে— ‘আমি কেন না?’ তখন সেই প্রশ্নই তাকে বদলে দেয়, তাকে অনুপ্রাণিত করে ভবিষ্যতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুরা প্রশ্ন করতে শেখে, চ্যালেঞ্জ নিতে শেখে, বুঝতে শেখে যে তারা এমন কিছু করতে পারে যা অন্যরা পারে না। এভাবেই তাদের আত্মবিশ্বাস ও কল্পনাশক্তি বেড়ে ওঠে।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com